ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিরামপুরে হচ্ছে এ্যাকোয়া থিম বিনোদন পার্ক

আপলোড সময় : ১৬-০৮-২০২৪ ১০:১২:৫৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৬-০৮-২০২৪ ১০:১২:৫৫ অপরাহ্ন
বিরামপুরে হচ্ছে এ্যাকোয়া থিম বিনোদন পার্ক
দর্শনার্থী ও বিনোদন পিয়াসুদের জন্য ৪০ বিঘা জমির উপর নির্মাণ হচ্ছে এ্যাকোয়া থিম বিনোদন পার্ক। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মির্জাপুর নামক মহাসড়ক সংলগ্নে এই বিনোদন পার্কটির নির্মাণ কাজ চলছে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু পার্কটির কর্ণধার। আগামী ডিসেম্বর মাসে পার্কটি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এই বিনোদনকেন্দ্রটি হবে প্রায় এক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। এ্যাকোয়া থিম বিনোদনকেন্দ্রটি ঘুরে জানা যায়, দুই বছর আগে শুরু হয় পার্কটির নির্মাণ কাজ। ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, আগামী আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে বাঁকি কাজ সম্পূর্ণ হবে।

 বিনোদন পার্কটি দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কের বিরামপুরে তৈরি হচ্ছে। যেখানে সহজেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থী ও বিনোদনপ্রেমিরা আসতে পারবে। বিনোদন পার্কটিতে নির্মান হচ্ছে প্রধান গেট, সেখানে থাকবে পানির ফুয়ারা। পার্কটিতে গাড়ি রাখার পার্কিং, চলাচলের সুন্দর রাস্তা তৈরি হয়েছে। শিশুদের জন্য রয়েছে আধুনিক বাইটস, দোলনা, স্নাইড ও স্নিপার সাইকেল খেলনা। ছোট-বড় সবার জন্য সুমিংপুল সহ কটেজ তিনটি আছে।

 তবে সুমিংপুল ও ওয়েব পুলের কাজ চলমান। লেকের সঙ্গে আছে পেটেল ও স্প্রীট বোর্ড এবং পানির ফুয়ারা। পুরো পার্কে রয়েছে কার্পেট বিছানো রাস্তা। যার দুপাশে আছে বিভিন্ন জাতের ফুল আর পাতাবাহারের গাছ। যা দেখলে প্রকৃতিপ্রেমিরা মুগ্ধ হবে। পার্কের রাস্তা এবং গাছের নিচে আছে বসার চেয়ার।

 বিনোদনকেন্দ্রটির বিভিন্ন স্থানে আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, জেব্রা, বনমানুষ, ঘোড়া, কুমির, জলপরী, পরী ও নারী সহ বিভিন্ন জীবজন্তুর মুর্তি। যা দেখে বিনোদন পিয়াসুরা সহজেই আকৃষ্ট হবে। কর্তৃপক্ষ আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান করবেন পার্কটি। ৯০ লাখ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে পার্কটি নির্মান করতে।

 এখনও দেড় থেকে দুই কোটি টাকার কাজ বাঁকি আছে। কয়েকটি ব্যাংক ঋণ নিয়েও কাজ করছেন এই কর্তৃপক্ষ, তবে সরকারি সহযোগীতা পেলে অচিরে একটি সুনামধন্য বিনোদন পার্কে পরিণত করতে পারবেন কর্তৃপক্ষ। এ্যাকোয়া থিম পার্কের ইঞ্জিনিয়ার হামিদ বলেন, আমি এখানে প্রায় ১৮ মাস থেকে কাজ করে আসছি।

 এই পার্কের সব ডিজাইন এবং গ্রীলের ও সুইমিংপুলের কাজ করছি। পার্কের মালি মিজানুর রহমান বলেন, এ্যাকোয়া থিম পার্কের বিভিন্ন প্রকার ফুল ও পাতাবাহারের গাছ লাগাচ্ছি। এখানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের ফুল ও পাতাবাহারের গাছ লাগিয়েছি।

 পার্কটিকে দৃশ্যমান করতে আমরা আৎপ্রাণ চেষ্টা করছি। পার্কের রাজমিস্ত্রী মোবারক হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা এই পার্ক নির্মাণ কাজ করছি। এ্যাকোয়া থিম পার্কের জেনারেল ম্যানেজার নজির উদ্দিন বলেন, বিরামপুর একটি বড় শহর, বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে এখানে আসা সহজ। কিন্তু এখানে তেমন কোন বিনোদন পার্ক নেই।

 তাই কর্তৃপক্ষ মানুষের বিনোদনের জন্য এই এ্যাকোয়া থিম পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এই বিনোদনকেন্দ্রটি একেবারে মহাসড়ক সংলগ্ন, সহজেই সবাই আসতে পারবে। এখানে গাড়ি রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও এই পার্কের এমডি খায়রুল আলম রাজু মহোদয়ের আগামীতে একটি উন্নতমানের হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ